ভাঙা একটি গাড়িতে খাবার বিক্রি করতো জাকির হোসেন (৩৫)। আর এই রোজগারের টাকায় চলতো তার সংসার। কিন্তু পুরনো জরাজীর্ণ ভাঙা গাড়ির কারণে জাকিরের দোকানে বেচাকেনা ছিল মন্দা। অবশেষে বিজয় দিবসে নতুন গাড়ি উপহার পেয়েছে জাকির। এখন থেকে সেই গাড়িতেই চলবে তার জীবিকা।
জাকিরের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার পূর্ব বাহেরচর গ্রামে। ওই গ্রামের মৃত কালাম পাটোয়ারির ছেলে তিনি।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে চিংড়ি বড়া, আলুর চপ ও ঝাল মুড়ি বিক্রি করে এক ছেলে, চার মেয়ে, স্ত্রীসহ সাত সদস্যের সংসার চালাচ্ছে জাকির। অভাব-অনটনের কারণে নতুন গাড়ি কেনারও সামর্থ্য ছিল না তার।
ভাঙা গাড়ির কারণে জাকিরের ভ্রাম্যমাণ ওই দোকানের বেচাকেনার করুন দশা চোখে পড়ে উপজেলা সদরের অমিত মেডিকেল হলের সত্ত্বাধিকারী দিলীপ কুমার দাসের। জাকিরের জীবনের চাকা ঘুরাতে অবশেষে বিজয় দিবস উপলক্ষে নতুন গাড়ি কিনে দিয়েছেন তিনি। এখন থেকে সেই গাড়িতেই চলবে জাকিরের উপার্জন।
মঙ্গলবার রাত ১২ টা ১ মিনিটে উপজেলা সদরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাকিরের হাতে উপহার হিসেবে গাড়িটি তুলে দিয়েছেন তিনি।
অনুভূতি জানতে চাইলে জাকির বলেন, ‘আমার গাড়িটা ভাঙা ছিল। দূরে যেতে পারতাম না। দোকানে লোকও কম আসত। এখন নতুন গাড়ি, বেচাকেনা ভালোই হবে আশা করি। দিলীপ দাদার প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ।’
গাড়ি উপহারের বিষয়ে দিলীপ কুমার দাস বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে অসংখ্য মানুষের পাশে ছিলাম। কিন্তু প্রচারের জন্য নয়। জাকিরের গাড়িটার কারণে তার বেচাকেনা খারাপ যাচ্ছিল এটি আমার নজরে আসে। এরপরই আমি তার জন্য একটা গাড়ি বানাতে দেই। বিজয় দিবস উপলক্ষে সেই গাড়িটি তাকে উপহার হিসেবে দিয়েছি। আশা করছি, সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষগুলোর পাশে এভাবেই বৃত্তবানরা এগিয়ে আসবেন।’