গাজীপুরের কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রধানের (৪০) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার সকালে কাপাসিয়ার সদর ইউনিয়নের রাউৎকোনা গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। জাহাঙ্গীর আলম ওই গ্রামের মৃত জবেদ আলী প্রধানের ছেলে। জাহাঙ্গীর আলমের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সকালে জাহাঙ্গীর আলম ফজরের নামাজ শেষে ভুবনের চালা গ্রামে তার নিজস্ব পোল্ট্রি খামারে ঘুমিয়ে ছিলেন। দীর্ঘ সময় তার কোনো খোঁজখবর না পেয়ে এক পর্যায়ে খামারের কর্মচারীরা তাকে পোল্ট্রি খামারের এক পাশে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে মাফলার দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
এ সময় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, আর্থিক দেনা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, আর্থিক অনটন ও পাওনাদারদের চাপের কারণে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগের ফলে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আলম চাঁদ জানান, লাশের সুরতহাল থেকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।